সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্য আজ একটি বিশেষ রাত। তারা চিরচেনা চাঁদটিকে দেখবেন একটু ভিন্নরূপে। রাতের আকাশে চাঁদটি স্বাভাবিকের তুলনায় ১৩ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল হয়ে দৃশ্যমান হবে বলে জ্যোতির্বিদেরা আশা করছেন। ব্যতিক্রমী ও বড় আকারের এই চাঁদ সুপারমুন নামে পরিচিত। সিএনএন নিউজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বছরের প্রথম ‘সুপারমুন’ দেখা যাবে আজ। নাসার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে করতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে চাঁদ। ফলে আমাদের চোখে এটাকে অনেক বড় মনে হবে। ওই সময় পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশ অনুযায়ী চাঁদ আর সূর্য থাকবে একে অন্যের ঠিক বিপরীতে।
নাসা আরও জানিয়েছে, এ বার টানা ৩ দিন ধরে রাতের আকাশে বেশ বড় চাঁদ দেখতে পাওয়া যাবে। গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত এমন বড় আকারের চাঁদ দেখা যাবে।
এমন বড় আকারের চাঁদের নাম ‘সুপারমুন’ দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে। নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এ বছরে ৪টি ‘সুপারমুন’ হবে। মার্চ থেকে জুনের মধ্যে দেখা যাবে। কেউ কেউে আবার বলছেন ৩টি ‘সুপারমুন’ হবে এপ্রিল ও মে মাসে। তবে সাধারণত প্রতি ১৩ মাস পরপর সুপারমুনের দেখা পাওয়া যায়।
মহাজাগতিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য মুখিয়ে আছেন জ্যোতির্বিদেরা। তাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম স্থানে এলেই সুপারমুন দেখা যায়। প্রদক্ষিণরত চাঁদটি নিজের কক্ষপথে পৃথিবীর যত কাছে, ততই বেশি উজ্জ্বল ও বড় আকারে দৃশ্যমান হয়। ডিম্বাকার কক্ষপথের কারণে চাঁদের আকৃতি একেক সময় একেক রকম দেখায়।
সুপারমুন কী?
সুপারমুনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘পেরিগি মুন’। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, তখন একে সুপারমুন বলা হয়। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড় ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
GIPHY App Key not set. Please check settings