in

পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ!

পোল্যান্ডের তরুণী আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিন এস.কে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছন গ্রিসের একটি আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঘোষিত এই রায় গ্রিসের সংবাদমাধ্যমসহ বাসিন্দাদের ব্যাপক নাড়া দিয়েছ। গ্রিসের কস দ্বীপে সংঘটিত এ ঘৃণিত ঘটনার মামলাটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

পোল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভিএন-২৪ গ্রিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।  সালাহউদ্দিন এস’র বিরুদ্ধে আনাস্তাসিয়াকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন মামলার কৌঁসুলি। পরে শুনানি ও অন্যান্য যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবনের দণ্ডাদেশ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আসামি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তবে তার আবেদন আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এদিকে নিহত পোলিশ নারীর বাবা পোলিশ গণমাধ্যম ভার্চুয়ালনা পোলাস্কাকে জানিয়েছেন, এই রায় এখনো চূড়ান্ত নয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। কারণ মামলার কাগজপত্রের কিছু অংশ ২ ডিসেম্বরেই বিবাদীপক্ষের হাতে পৌঁছায়। কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন ২৭ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের জুনের কোনো এক দিনে তিনি তার কর্মঘণ্টা শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে তাকে ওই ব্যক্তির স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এটিই ছিল আনাস্তাসিয়াকে জীবিত অবস্থায় শেষবার দেখা।

আনাস্তাসিয়া তার প্রেমিককে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনোভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। সালাহউদ্দিনকে শুরু থেকেই প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তিনি ছিলেন আনাস্তাসিয়ার সঙ্গে দেখা করা শেষ ব্যক্তি।

মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, সালাহউদ্দিন ইতালিতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার ফন্দি এঁটেছিলেন। ডেভিড বুরজাকি বলেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, ‘মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মুছে ফেলা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়।’ গ্রেপ্তারের পর আসামি তার অপরাধ অস্বীকার করে

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

কাঁধে হাত রাখার মানুষ নেই আলোচিত নায়িকা পরীমনির!

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করবে নয়াদিল্লি!