in

পিএসজিকে পাত্তা না দিয়ে শিরোপা কেড়ে নিলো বায়ার্ন।

অপেক্ষার পালা শেষ। বলা যায় প্রতি মৌসুমে জুনের মধ্যেই জানা যেত ইউরোপের সেরা দলটির কে। তবে চিত্র ছিল ভিন্ন করোনাভাইরাসের কারণে অনাকাক্সিক্ষত বিরতি ইউরোপিয়ান মৌসুমকে টেনে এনেছে আগস্টে। বহু প্রতীক্ষার পর শেষ হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা নিষ্পত্তি।

রোববার রাতে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্তাদিও দ্য লুজে খুব প্রয়োজনের সময় যেন গোল করতে ভুলেই যান পিএসজি। দলের কাণ্ডারি ভরসা নেইমার-কিলিয়ান এমবাপে রইলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। দুয়ারে গিয়েও ইতিহাস গড়া হলো না পিএসজির। আসর জুড়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা বায়ার্ন মিউনিখ উজ্জ্বল শেষ বেলাতেও। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ষষ্ঠ শিরোপা জিতল হান্স ফ্লিকের দল। ১-০ গোলের জয়ে ট্রেবল জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতে বায়ার্ন। প্রথমবার ফাইনালে উঠে হারের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে টমাস টুখেলের দল।

এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া ক্লাবগুলোর তালিকায় যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে উঠে এলো দলটি। সমান সংখ্যক শিরোপা আছে লিভারপুলেরও। প্রথম দুটি স্থান যথাক্রমে রিয়াল মাদ্রিদ (১৩) ও এসি মিলানের (৭) দখলে।

এক দল শেষ ১০ ম্যাচে গোল করেছে ৪২টি, আরেক দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ কবে জালের দেখা পায়নি, সেটাই সবাই ভুলতে বসেছে। আক্রমণভাগে ছন্দে থাকা দারুণ সব ফরোয়ার্ড থাকার পরও প্রথমার্ধে খুব ভালো সুযোগ তৈরি করতে ভুগলো বায়ার্ন ও পিএসজি।

প্রথমে সুযোগ পেয়েও বারপোস্টে বল মেরে তা নষ্ট করেন বায়ার্নের গোলমেশিন রবের্ত লেভান্দোভস্কি। পরে ফাঁকা পোস্টে পেয়েও জাল ছোঁয়াতে না পারার আগুনে পুড়েছেন পিএসজির ফলাসি তারকা এমবাপেও। তবে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকেই দুই দলের মাঝে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে এই পিএসজিরই সাবেক ফুটবলার কিংসলে কোমানের একমাত্র গোল। আর তাতে ষ্ঠবারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরল জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।

প্রতিযোগিতাটিতে টানা ৩৪ ম্যাচে গোল করার পর জালের দেখা পেতে ব্যর্থ হলো পিএসজি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে আসা দলের দুর্দশা দীর্ঘায়িত হলো আরও।

এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ এক মাইলফলকও স্পর্শ করেছে বায়ার্ন। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বুন্দেসলিগার দলটি পূরণ করেছে ৫০০ গোলের বৃত্ত। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে জশুয়া কিমিচের বাড়ানো বলে দূরের পোস্টে থাকা কিংসলে কোমান হেডে জাল খুঁজে নেন।

এ জয়ে মধ্যে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলল বায়ার্ন। এর আগে ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৬, ২০০১ ও ২০১৩ সালে মোট পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল জার্মানির এই ক্লাব।

স্বদেশী ক্লাব মার্সেইয়ের পাশে নাম লেখাতে পারল না পিএসজি। ১৯৯৩ সালে প্রথম এবং শেষবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিল মার্সেই।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

আপনার পিসির গতি বাড়াবেন যেভাবে।

কানের যন্ত্রণা?? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান।