‘‘উত্তরাধিকার সূত্রে শোবিজ জগতে এসেছেন বেশ কজন তারকার সন্তান। এদের মধ্যে অনেকেই প্রতিষ্ঠাও পেয়েছেন। অনেকে নিয়মিত অভিনয় কিংবা নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন। অনেকে আবার এ জগৎ ত্যাগ করে পড়াশোনা বা অন্য পেশায় ব্যস্ত রয়েছেন। এমনই কয়েকজন তারকার সন্তানের কথা তুলে ধরেছেন।
নায়করাজের ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাট – নায়করাজ রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ ১৯৮৬ সালে বাবার পরিচালিত ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর নিয়মিত অভিনয় করলেও নব্বই দশকের শেষভাগে চলচ্চিত্র থেকে বেশ কিছুটা সময় দূরে থাকেন তিনি। এখন আবার অভিনয় করছেন।নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাটও বাবার হাত ধরে ২০০৭ সালে রাজ্জাক পরিচালিত ‘আমি বাঁচতে চাই’ ছবির মাধ্যমে চিত্রজগতে আসেন। এখনো বড় পর্দায় অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ছোট পর্দার নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ে ব্যস্ত রয়েছেন সম্রাট।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নির্মাতা প্রয়াত বুলবুল আহমেদের মেয়ে ছোটবেলায় কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও মূলত নাটকেই তাকে বেশি অভিনয় করতে দেখা যায়। এ ছাড়া ডকুমেন্টারি নির্মাণ, বই লেখা, টিভিসিতে কাজ করা নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রাণ কে-এর একটি মডেল হয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
অভিনেতা আলমগীরের মেয়ে আঁখি আলমগীর অভিনয়ে আসেন শিশুশিল্পী হিসেবে। আশির দশকে অভিনয় করেন আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘ভাত দে’ ছবিতে এবং শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। এরপর গান নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং চলচ্চিত্রে আর অভিনয় করা হয়নি তার। এখন গান নিয়েই তার ব্যস্ততা।
পড়াশোনা নিয়েই এখন ব্যস্ত দিঘী। স্কলাস্টিকা স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে সে। আর পড়াশোনার জন্যই ২০১২ সাল হতে অভিনয় থেকে দূরে রয়েছে সে। ২০০৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে কাজী হায়াৎ নির্মিত ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিতে মিনি চরিত্রে প্রথম অভিনয় তার। প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার লাভ। এর আগে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে সবাইকে মুগ্ধতায় ভাসায় দিঘী। শিশুশিল্পী হিসেবে ৩৬টি সিনেমায় অভিনয় করার পর হঠাৎ বিরতি। মোট তিনবার জাতীয় পুরস্কারও লাভ করা হয়েছে তার। অভিনয়শিল্পী সুব্রত আর দোয়েল দম্পতির মেয়ে দিঘী ডাক্তার হতে চায়।
প্রখ্যাত অভিনেত্রী আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি চলচ্চিত্রে আসেন নব্বই দশকে। বড় পর্দায় তার অভিনয় শুরু শেখ নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘চাঁদের আলো’ ছবি দিয়ে। এরপর হুমায়ূন আহমেদের ছবিসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পাশাপাশি ছোট পর্দার নাটকেও কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সোহেল রানার একমাত্র ছেলে মাশরুর পারভেজ জিবরান। বাবার মতো পরিচালনার পাশাপাশি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করছেন মাশরুর। ‘অদৃশ্য শত্রু’ ও ‘রাইয়ান’ শিরোনামের দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ ও অভিনয় করেন তিনি।
খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত দিলীপ বিশ্বাসের ছেলে দেবাশীষ বিশ্বাস। ২০০২ সালে ‘শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় তার। এখনো ব্যস্ত ছবি নির্মাণ নিয়ে।
মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা ও ক্যামেলিয়া মুস্তাফা
প্রখ্যাত অভিনেতা প্রয়াত গোলাম মুস্তাফার মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা সত্তরের দশক থেকে ছোট পর্দার নাটকে অভিনয় করছেন। বেশ কয়েকটি ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। বর্তমানে ছোট পর্দার নাটকে অভিনয় ও নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন। অন্য মেয়ে ক্যামেলিয়া মুস্তাফা সত্তরের দশকে টিভি নাটকে অভিনয় আর আবৃত্তিতে এলেও দীর্ঘদিন ধরে শোবিজ জগৎ থেকে দূরে রয়েছেন তিনি।
খান আতা-নীলুফার ইয়াসমীনের ছেলে আগুন
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান ও কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীনের ছেলে আগুন বাবার পরিচালিত ‘এখনো অনেক রাত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। গান নিয়ে ব্যস্ততার কারণে অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি রয়েছে। সর্বশেষ প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ছবিতে অভিনয় করেন আগুন।
আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান ও দোদুল
খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। দুজনেই নাট্যাঙ্গনে পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। সোহেল আরমান ও দোদুল নাটক নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন। সোহেল আরমান নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণও করেছেন। দুজনেই এখন শোবিজ জগতে ব্যস্ত আছেন।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings