বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণের সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে, এবং ঢাকাও এর আওতার বাইরে নয়। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান অত্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল, যা নগরবাসীর জন্য বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এ পরিস্থিতিতে বেশি আক্রান্ত হতে পারে। আজও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়ে গেছে, যা আশঙ্কাজনক।
রোববার (০৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে, আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানিয়েছে, ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৫১, যা বাতাসকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করে। একই সময়ে, ভারতের দিল্লি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর, যার স্কোর ছিল ৩২৪, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়। এর পরেই নেপালের কাঠমান্ডু (২২৯ স্কোর) এবং পাকিস্তানের লাহোর (২০৪ স্কোর) স্থান পায়।
আইকিউএয়ার স্কোর অনুযায়ী, ৫০ স্কোরের নিচে বাতাসকে ভালো হিসেবে গণ্য করা হয়, ৫১ থেকে ১০০ স্কোরকে মাঝারি, এবং ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, এবং ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরের মধ্যে থাকা বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ সময় বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থদের বাড়ির মধ্যে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে তারা দূষিত বাতাসের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুযায়ী, বায়ুদূষণ প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটায়। বায়ুদূষণ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে, যার মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)। এই পরিস্থিতি যদি অপর্যাপ্তভাবে মোকাবেলা করা হয়, তবে এটি আরও বড় স্বাস্থ্য সংকটের সৃষ্টি করতে পারে।
এখনই সময়, আমরা সবাই সচেতন হয়ে, এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করি। সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে। সবাই একসঙ্গে এই দিকেই কাজ করলে, আমরা একটি সুস্থ এবং নিরাপদ পরিবেশ পেতে পারি।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings