আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কিছু পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যে, আমরা তখন দিশেহারা হয়ে যাই৷ ধরুন আপনি আপনার স্বপ্নের চাকরিটা হারিয়েছেন বা হয়তো আপনার পছন্দের মানুষটি আপনাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এ সকল পরিস্থিতি আপনিযে হতবুদ্ধিকর, এলোমেলো সময় কাটাবেন, এটাই স্বাভাবিক।
এসব সময়ে, সব থেকে বেশি দরকার নিজের পরিবার এবং বন্ধুদেরকে পাশে পাওয়া।
এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা আবার কিভাবে নিজেকে গুছিয়ে আনতে পারি?
সত্যি কথা বলতে, কোনকিছুই আপনাকে সেরকম করে উৎফুল্লতা অনুভব করাতে পারবেনা, যতক্ষন আপনি নিজেকে নিজে যেকোন পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করে ভালো রাখার জন্য শপথ নিতে পারবেন।
জীবনে এরকম বিষাদের সময় আপনাকে অবশ্যই অতিক্রম করে যেতে হবে।
আমরা এখানে এমন কিছু টিপস শেয়ার করবো যা আপনাকে বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করবেঃ
কঠিন সময়টাকে অনুভব করাঃ
আপনি যদি কখনো দুঃখ, হতাশা অুনভব করেন; এইটাই স্বাভাবিক। আপনাকে অবশ্যই এসকল আবেগ অনুভব করতেই হবে; মানুষ হয়ে জন্মেছেন যে। এবং এই আবেগ অনুভব করতে পারাটাই আপনাকে আবেগী সময় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। আমরা প্রায়শই, এসকল আবেগ জমা করে করে নিজেকে যন্ত্র করার পথে নিয়ে চলি। আদতে, এতে সমাধান নয় বরং আবেগগুলোকে আমরা প্রশ্রয়ের সুযোগ দিয়ে চলি।
সুতরাং, কঠিন সময়টাকে অনুভব করুন। হ্যাঁ, এটা অবশ্যই আপনাকে আঘাত করবে। আপনি হয়তো আরো বিষাদময় সময় কাটাবেন; কিন্তু এগুলোই পরবর্তীতে আপনাকে অন্যান্য খারাপ পরিস্থিতি উত্তরণে পথ দেখাবে।
যা ঘটেছে, তা মেনে নিন
হয়তো, অনেককিছু আছে যে মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমরা কখনোই বিশ্বাস করতে চাইনা, এমন খারাপ কিছু আমার সাথে ঘটতে পারে। যে কারনে, আমরা হৃদয়বিদারক কোন কিছু মেনে নিতে পারিনা।
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন অনুভুতি, আবেগের সময় কাটাই। আমরা প্রায়শই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, এবং সে সকল ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের অনুভুতিকে প্রশমিত করে রাখি। কিন্তু, এভাবেতো কোনকিছুই হচ্ছেনা। অনুভুতি, আবেগকে আটকে রেখে পথ চলাটাযে আরো কঠিন। আমাদের উচিত হবে, যাইইহোক সবকিছুকে নিজের মত করে অনুভব করা। প্রতিটি ঘটনা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলা।
এমন ৫ টি জিনিস ভাবুন, যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ
প্রতিদিন সকালে, যখন আপনি ঘুম থেকে উঠেন, এমনি পাঁচটি ব্যাপার ভাবুনতো যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। দুঃখের স্মৃতিকে একপাশে বন্ধি করে, এরকম ভালো কিছু চিন্তা করার চেষ্টা করুন। এটা হতে পারে, আপনি আপনার পোষ্য প্রানীটাকে কতটা ভালোবাসেন! বা, আপনার জীবনসঙ্গী অথবা মায়ের জন্য আপনার অশেষ কৃতজ্ঞতা। আবার ধরুন, আপনার পছন্দের খাবার! পছন্দের খাবারের কথা ভাবলেই কিন্তু মনটা ভালো হয়ে যায়। অথবা যেকোন কিছু, যা আপনার মনে এমন মুহুর্তে উঁকি দিচ্ছে।
“ধন্যবাদ” জানানো অভ্যাস করে ফেলুন। এটা কিন্তু বেশ একটা ইতিবাচক শক্তি প্রদান করে। কৃতজ্ঞ থাকাটা নিজেকে বেশ মানসিক চাপমুক্ত এবং চাঙ্গা রাখে।
ডায়েরি লিখুন
আমাদের মস্তিষ্ক খারাপ স্মৃতিগুলো বারবার মনে করিয়ে দিতে বেশ পটু! আপনি কিন্তু চাইলেই আপনার প্রতিদিনকার বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্মৃতি, বা অনুভুতি ডায়েরিতে লিখতে পারেন। হতে পারে, কারো প্রতি আপনার ভালোলাগার অনুভুতিটুকু লিখে রাখলেন। এই লেখাটুকুই আপনার অনুভুতিকে আরো রঙ্গিন করে দিতে সাহায্য করবে। এরকম লেখালেখি আপনাকে অনেকসময় খারাপ পরিস্থিতি উত্তরণে বেশ সাহায্য করবে৷
নিজেকে ভালোবাসাটা খুবই জরুরী। বিষাদময় সময়ে নিজেকে গুটিয়ে রেখে চলাটা একরকম অসম্ভবই। তার থেকে, এই খারাপ সময়টা কিভাবে পার করা যায় এ বিষয়ে ভাবলেই জীবনটা আরো সহজ হবে। এইসব আবেগ, অনুভুতি, দুঃখ-কষ্ট কেই কিন্তু আপনি আপনার জীবনের শক্তি করে নিতে পারেন এবং বাকিটা কিভাবে কাটাতে হবে সেটা আপনি নিজেই জেনে যাবেন। জীবনটাকে অনুভব করতে হবে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings