in

কেবল যৌন নির্যাতনই নয় নারীদের বাধ্য করতেন পতিতাবৃত্তিতে!

তাকে কেলেঙ্কারির বরপুত্র হিসেবে অ্যাখ্যা দিলেও কোন অংশে খারাপ হবে না। সঙ্গীতের আড়ালে পুরো জীবনটাই বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে ভরপুর। নিন্দিত র‍্যাপার ও সঙ্গীত প্রযোজক শন ডিডি কম্বস, যিনি সবার কাছে ডিডি নামেই অধিক পরিচিত। বর্তমানে ডিডি অনেকগুলো যৌন নির্যাতন এবং নারী পাচারের মামলায় জেল বন্দী।

গত বুধবার তৃতীয়বারের মতো ডিডির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আমেরিকার আদালত। তথ্য অনুসারে, শন ডিডির বিরুদ্ধে নারী পাচার এবং জোরপূর্বক নারীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।

বার্তা সংস্থা পিপলের তথ্যমতে, দেশটির আদালত ইতোমধ্যেই দু’বার ডিডির জামিন আবেদন খারিজ করে করেছেন। এমনকি প্রসিকিউটররা তৃতীয় বারের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বলেছেন, শন ডিডি সাক্ষীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং কারাগারে থাকাকালীন অননুমোদিত যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছেন।

 সম্প্রতি ফেডারেল আদালতের বিচারক অরুণ সুব্রামানিয়ান একটি আদেশে বলেছেন, নিম্নলিখিত কারণগুলোর জন্য কম্বসের জামিন দেয়া সম্ভব না। কোনো শর্ত বা শর্তের সংমিশ্রণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। এছাড়াও অরুণ সুব্রামানিয়ান জামিন নিয়ে আইনি লড়াইয়ের জন্য কম্বসের আবেদনও প্রত্যাখ্যান করেন।

 এ বিষয়ে ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন, শন ডিডি ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য অনেক নারীকে ব্যবহার ও নিপীড়ন করেছেন। একইসঙ্গে নিজের পরিচয় গোপনের জন্য তার পরিচিত অনেককেই হুমকি দিয়েছেন ও নির্যাতন করেছেন। তারা আরও বলেন, নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি বা যৌনকর্ম করানোর সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখতেন তিনি।

 এদিকে গ্রেফতার ইস্যুতে ডিডির আইনজীবী মার্ক অ্যাগনিফিলো সাংবাদিকদের বলেন, ‘কম্বস ধারণা করেছিলেন যে এরকম কিছু একটা হবে। এরকম একটা দিন আসবে জেনেই আমরা দুই সপ্তাহ আগে তাকে নিউ ইয়র্কে এনেছিলাম এবং দিনটি এসে গেছে।’

 অভিশপ্ত এই শিল্পীর বিরুদ্ধে নারীপাচার, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো ও এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ডিডি ২০০৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত তার যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য অনেক নারীকে ব্যবহার ও নিপীড়ন করেছেন।

 একইসঙ্গে নিজের পরিচয় গোপনের জন্য তার পরিচিত অনেককেই হুমকি দিয়েছেন ও নির্যাতন করেছেন। তারা আরও বলেন, নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি বা যৌনকর্ম করানোর সময় গোপনে ডিডি ভিডিও করে রাখতেন।

 ডিডির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালের পর থেকে শুরু করে বেশ লম্বা সময় ধরে ডিডি বিভিন্ন সময়ে নারীদের নির্যাতন করেছেন। যেখানে ২০১৬ সালের এক হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়া এক ঘটনার বিষয়ে উল্লেখ আছে। এই বছরের শুরুর দিকে সিএনএন ওই ফুটেজ সম্প্রচার করে।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

মুক্তি পেতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ইংলিশ সিনেমা 'স্নো হোয়াইট'

কাঁধে হাত রাখার মানুষ নেই আলোচিত নায়িকা পরীমনির!