in

করোনায় আত্মঘাতী আচরণ!

করোনা

কালে দেশে ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর’ বাক্যটির বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। আমরা নিজেরাই যেন আত্মঘাতি আচরণের মাধ্যমে করোনাভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সারাবিশ্বের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে নাগরিকদের তিনটি কাজ আবশ্যক। প্রথমত; সবার মাস্ক পরা, দ্বিতীয়ত; ২০ সেকেন্ড সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোঁয়া এবং তৃতীয়ত; সামাজিক দূরত্ব রক্ষা। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত কেবল এই সচেতনতাই করোনাভাইরাস থেকে জাতিকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে চিত্র উল্টো। করোনার মধ্যে মানুষ যেন হয়ে উঠেছে আরো বেপরোয়া। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা এবং সামাজিক দূরত্ব ভাঙার প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। আর মুখে মাস্ক না পরে চলাফেরা যেন বাহাদুরির পর্যায়ে চলে গেছে।

বাঙালীদের অদ্ভুত চরিত্র! মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যেও করোনাভাইরাস নিয়ে হেঁয়ালিপনা থামছে না। প্রায় তিন যুগ আগে বাংলাভাষার বিতর্কিত লেখক ইতিহাসবিদ নিরোধ চন্দ্র চৌধুরী ‘আত্মঘাতি বাঙালী’ নামে একটি বই লিখে বিতর্কের ঢেউ তুলেছিলেন। বিগত নব্বই দশকের মাঝামাঝি কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকায় ওই বইয়ের একটি নিবন্ধ ছাপানোর কারণে বাংলাদেশে ‘দেশ পত্রিকা’ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নিরোধ সি চৌধুরীর ওই লেখার সাড়ে দিন দশকের মাথায় এসে বাঙালীরা প্রমাণ দিচ্ছে সত্যিই আমরা ‘আত্মঘাতি’। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশে পুনরায় ‘লক ডাউন’ করা হয়েছে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিশ্বের ধনীদেশগুলো বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার খরচ করে ভ্যাকসিন আবিস্কারের চেষ্টায় মরিয়া। অথচ প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের পাদুর্ভাবের মধ্যে আমরা নিজেরাই যেন করোনাভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রাজধানীর কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল, বিপনিবিতান, মার্কেট, হাট-বাজার, গণপরিবহন, টার্মিনাল এমনকি পথাচারীদের দিকে তাকালে দেখা যায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে এতো সতর্কতা, প্রচার প্রচারণা চলছে, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ঘোষণার পর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধমে শাস্তি দেয়ার পরও মুখে মাস্ক পড়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মানুষ। হাতে গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার তো কমে গেছে অনেক আগেই। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। বাংলাদেশেও বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সর্বস্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলে বিপদের ঝুঁকি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা বাধ্যতামূলক। গণপরিবহন, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, অফিস-আদালতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা অপরিহার্য। কে শোনে কার কথা? এমনিতেই শীত শুরু হওয়ায় শীত জনিত রোগ বেড়ে গেছে। পরিবেশ ধুষণ, ধুলোবালির কারণে শীত মৌসুমে এমনিতেই রোগবাধি বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসিনতা দেখালে বাংলাদেশে শীতে করোনাভাইরাস মরণকামড় দিতে পারে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, শীত শুরুর আগেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনটি কাজ আবশ্যক। প্রথমত; সবাই মাস্ক পরে ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। দ্বিতীয়ত; ২০ সেকেন্ড সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। তৃতীয়ত; গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামাজিক দূরত্ব মানা। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এই সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব। মাস্ক না পড়ে গাদাগাদি করে চলাফেরা থাকলে করোনা সংক্রমণ আরো বেশি ছড়াবে। এটা হবে সবার জন্য আত্মঘাতি।

গতকাল রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে করোনা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। মাস্ক ছাড়াই মানুষ চলাফেরা করছে। শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। বাংলাদেশে করোনার সংক্রশন কমেছিল। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর শনাক্ত ও মৃত্যের সংখ্যা নেমে এসেছিল। কিন্তু আবারও করোনা শনাক্ত বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে মৃত্যুও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী গতকালও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৩৯ জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ হাজার ৪৮৭ জন। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১৫৬ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ১৭ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন যে পরিমান মানুষের করোনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন; সে তুলনায় পরীক্ষা করা হয় অনেক কম। তারপরও দেখা যায় যাদের পরীক্ষা করা হয় তাদের মধ্যে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে আবার দেখা যায় অনেকেই করোনা আক্রান্ত হলেও তা গোপন করছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে দেশে শনাক্ত হওয়া সক্রিয় করোনা রোগীর ২৯ ভাগেরই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশে নানামুখি উদ্যোগ দেখা গেলেও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনো তেমন সচেতনতা নেই। নতুন করে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। অথচ মানুষ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মানুষের এই খামখেয়ালীকে বিশেষজ্ঞরা ‘করোনাকে আমন্ত্রণ’ জানানোর নামান্তর বলছেন।

করোনা ঠেকাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস কয়েকদিন আগে রাত ৮টার পর সব ধরণের মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে কেউ সেই নির্দেশনা মানছেন না। বরং ক্রেতা বিক্রেতা সবার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা।

শীত মৌসুমকে বলা হয়ে থাকে ‘বিয়ের মৌসুম’। এ ছাড়াও করোনা সবকিছু বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাস দেশে বিয়েসাদি হয়েছে খুব কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার কমিউনিটি সেন্টার ও পর্যটন স্পটগুলো খুলে দিয়েছে। রাজধানীর শত শত কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে এখন প্রতিদিন বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।কিন্তু সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টার ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেকটিতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। বর ও কনে পক্ষ্যের লোকজন ঠাসাঠাসি করে বসে গল্পগুজব করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ কেউ হৈহুল্লোর করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং করোনা মহামারি বিষয়ে কারোই ভ্রুক্ষেপ নেই।

সরেজমিন রাজধানীর নিউ মার্কেট, চাঁদনি চক, গাউছিয়া, রাজধানী সুপার মার্কেট ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনা নিয়ে পথচারী এবং সাধারণ মানুষের কোনো মাথাব্যথা নেই। মাস্ক ছাড়াই চলছে বেচা-কেনা। ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশের মুখেই মাস্ক নেই। কয়েক মাস আগে বিক্রেতাদের মার্কেটে প্রবেশের আগে হাত ধোঁয়া ও হ্যান্ডস্যানেটাইজ করা হলেও এখন সেগুলো নেই। মার্কেটের অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। বেশ কয়েকজনকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাদের দায়সারা উত্তর ‘কাজের সময় মুখে মাস্ক পরি না’। ‘মাস্ক পরে কাজ করতে অসুবিধা হয়’। ‘কাজের চাপ কমলে মাস্ক পরব’। কেউ কেউ থুতনিতে মাস্ক কেন রেখেছেন প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘মনে নেই’ ‘নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে’ ইত্যাদি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পরিবহণের যাত্রী, বাসের ড্রাইভার, হেলপার কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। কেউ কেউ থুতনিতে মাস্ক পরেছেন। সড়কে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা চলছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। কোথাও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। আদালতপাড়ায় হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী ও তাদের স্বজনদের ভিড়। বেশির ভাগের মুখে নেই মাস্ক। রাজধানীর অলিগলিতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বালাই চোখে পড়ে না। দোকানে দোকানে ভিড় করছেন মানুষ। মার্কেটগুলোর গেইটে দাঁড়ারে মনে হয় যেন মানুষের শ্রোত নেমেছে।

গতকাল রাজধানীর পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত পাড়া ঘুরে দেখা যায়, মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছেন অসংখ্য মানুষ। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে চলছে গল্প, শলাপরামর্শ। মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা নেই। ধূমপান, চা পান, হাত মেলানো সবই চলছে। করোনার ভয়াবহতার লেশ মাত্র নেই মানুষের আচরণে। জানতে চাইলে আইনজীবী মু. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘এমনিতেই আদালত চত্বরে জনসমাগম বেশি। তার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়। মানুষকে বলেও মাস্ক পরানো যায় না। এটা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ভিতরে মাইকে মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের কাউকে মাস্ক ছাড়া দেখলে রেলওয়ের কর্মীরা তাদের মাস্ক পরতে বলছেন। কিন্তু স্টেশন থেকে বের হয়েই গেটে সিএনজির জটলায় মাস্ক, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দ‚রত্বের বালাই থাকছে না। স্টেশনে মাস্ক পরে থাকা ব্যক্তিও ভিড়ে মাস্ক খুলে সিএনজিতে উঠছেন। সিএনজি চালকরা থুতনিতে মাস্ক রেখে যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীরা মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান) মানছেন না। প্রবেশপথ থেকে শুরু করে টার্মিনালের ভিতর এমনকি বিমানে ওঠার সময়ও সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, বাসগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মানার তেমন কোনো তোড়জোড় নেই। যাত্রীদের তোলার সময় কোনো ধরনের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে না। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা ডাক্তার দেখাচ্ছেন। অধিকাংশের মুষে মাস্ক নেই এবং সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। নিম্ন আদালত বিশেষ করে মহানগর জজ কোর্ট এলাকা, সিএমএম আদালত এলাকা, বাহাদুর শাহ পার্ক, সচিবালয়, মতিঝিল শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, হাতিরঝিল, উত্তরার আজমপুর, খিলক্ষেত, মাসকট প্লাজা, সংসদ ভবন এলাকায় একই চিত্র।

জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে শীতে বিপদের ঝুঁকি আরো বাড়বে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না, সেটি অফিসের ভেতরে এবং বাইরে থেকে কঠোর ভাবে তদারকি করা দরকার। নজরদারি না বাড়ালে সামনে বিপদে পড়তে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক পরা আবশ্যক। অবহেলা করোনা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। মাস্ক না পরে হাঁচি-কাশি দিলে জীবাণু কণা অর্থাৎ ড্রপলেট ছড়িয়ে পড়বে। আর্দ্রতা কম থাকায় ড্রপলেট দ্রুত শুকিয়ে অ্যারোসল অর্থাৎক্ষুদ্র কণায় পরিণত হবে। এসব জীবাণু মিশ্রিতক্ষুদ্রকণা বাতাসে ভাসমান থেকে সংক্রমণ বাড়াবে।

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

মহানবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণ : মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই

সংঘর্ষ হলে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে জবাব দেয়া হবে : শেখ রশিদ