করোনার নতুন ধরন নিয়ে সতর্কতা, ভারতসহ আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ!
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারতসহ আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওমিক্রনের নতুন ধরন LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1 ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরগুলোর আইএইচআর (IHR) ডেস্কে স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূল নির্দেশনাগুলো:
* সীমান্ত, নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার ও নন টাচ ডিজিটাল থার্মোমিটারে স্ক্রিনিং জোরদার করা।
* স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী, যেমন মাস্ক, গ্লাভস ও গাউন সংরক্ষণ।
* জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা।
* সন্দেহভাজন রোগীদের ক্ষেত্রে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগের পরামর্শ।
* আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা।
সবার জন্য সাধারণ পরামর্শ:
* বারবার সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া
* মাস্ক ব্যবহার
* ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা
* হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা বাহু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
* অসুস্থ হলে ঘরে থাকা এবং গুরুতর হলে হাসপাতালে যোগাযোগ
সম্প্রতি ভারতের কেরালা, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লিকে সংক্রমণের হটস্পট বলা হচ্ছে। দেশটিতে রোববার পর্যন্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬,১৩৩ জনে, একদিনে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
বাংলাদেশেও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে প্রথম মৃত্যু বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মহামারির পরিসংখ্যান (বাংলাদেশ):
* মোট শনাক্ত: ২০,৫১,৭৩৯
* মোট মৃত্যু: ২৯,৫০০
* সর্বোচ্চ মৃত্যু: ২০২১ সালে (২০,৫১৩ জন)
* সর্বশেষ মৃত্যু: ২০২৫ সালের জুনে (বর্তমান ঘটনা)
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার অনুরোধ করা হচ্ছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings