সম্প্রতি মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা জয়া আহসান। জামদানীতে জমকালো জয়া জেল্লা ছড়িয়েছেন সে আসরে। তবে জামদানীর ব্যাতিক্রম সাজে জয়াকে ভালোভাবে নেননি নেটিজেনদের অনেকে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়া বলেন, ‘হ্যাঁ আমি দেখেছি অনেকে এটা নিয়ে কথা বলছেন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যদি ফিউশন করে খেতে পারি, যেমন পিঠা বা মাছ তো আমরা ফিউশন করে খাই। তাহলে আমাদের দেশের কস্টিউম কেন ফিউশন করে পরতে পারব না? কেউ তো দাসখত দেয়নি যে, জামদানি এভাবে পরা যাবে না, ওভাবে পরা যাবে না। জামদানি যদি স্কার্ট হয়, জ্যাকেট হয় তাহলে এভাবে পরলে সমস্যা কোথায়। আমরা যত ফিউশন করবো ততো বাইরের দেশের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো।
এটার চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এসব ভেবেই আমি জামদানির এই ফিউশন করেছি। দেখুন, কয়েক বছর আগেও জামদানির এতটা চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন জামদানির এত চাহিদা যে, মনে হয় এটা শুধু একটি শাড়ি নয়, এটা অলঙ্কারের মতো। একটা মেয়ে চায়, তার ঘরে একটা সুন্দর, দামি জামদানি থাকুক।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এটাই প্রথম নয়, আমি যতটুকু পারি জামদানি, মসলিন পরার চেষ্টা করি। এই লুকটারও একটা বিষয় ছিল। পুরানে যেসব মেয়েরা যুদ্ধ করতো, তাদের যে লুক সেই লুকেই আমি সেজেছিলাম এবং সেটা ইচ্ছে করেই। এমনকি পরিচালক সুজয় ঘোষও আমার লুকের প্রশংসা করেছিলেন।’
ফিল্মফেয়ারের এবারের আসরে উপস্থিত ছিলেন কারিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, বিজয় ভার্মা, মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহাসহ অনেকেই। তাদের মধ্যে স্বমহিমায় ছিলেন জয়া। সঞ্চালকও মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন তাকে। সম্বোধন করেছেন ‘ফাইন অ্যাকট্রেস অব বেঙ্গল’ বলে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings