অনেকের ধারণা অ্যান্টাসিড খেলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কিছু নিয়মবিধি মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাস অম্বলের চিরবিদায় হয়।
সামান্য কিছু খেলেই অনেকের অ্যাসিডিটি হয়ে যায়। কারও গলা-বুক জ্বালা, কারোও চোঁয়া ঢেকুর, কারও আবার পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা। অনেকের ধারণা অ্যান্টাসিড খেলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু কিছু নিয়মবিধি মেনে চললে কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাস অম্বলের চিরবিদায় হয়।
চিকিৎসকদের ধারণা, সাধারণত খুব ঝাল খাবার, তেল-মশলা দেওয়া খাবার, ফ্যাটজাতীয় খাবার বা কোনও খাবারে যদি ব্যাকটেরিয়া হেলিকোব্যাকটর পিলোরি থাকে, তা হলে সেই খাবার থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। এই অ্যাসিডিটি থেকে আলসার পরে আলসার থেকে ক্যান্সার হতে পারে।খাদ্যাভাস পরিবর্তন পাশাপাশি কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা,কফি পান করলে, মশলাযুক্ত ও ভাজাভুজি খাবার বেশি খেলে, খাওয়ার অনিয়ম হলে, রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। গ্যাস, অম্বলের কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেকুর ওঠে, বুক জ্বালা করে ও পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
অনেকেই খাবার খাওয়ার পর একটু মৌড়ি বা জোয়ান মুখে ফেলে ৷ মুখশুদ্ধি হিসেবে জোয়ানের জুড়ি নেই ৷এটি হজম শক্তি বাড়ায় ও হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
হলুদ ও জোয়ানের জল অম্লতা রোধ করে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে নিয়মিত হলুদের জল খাওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়।
জিরা ভিজিয়ে সেই জল খেলেও পেট পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে এবং অ্যাসিডিটি কমে যেতে পারে। এই জিরা ভেজানো জল হজমের সমস্যাও দূর করে এবং একই সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কালো জিরা গ্যাস্ট্রিক আলসার সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আদা অ্যাসিডিটি দূর করতেও সাহায্য করে। জ্বালাভাব কমায় ও খাদ্যনালী পরিষ্কার করে। কারণ এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে। আদা গ্যাস্ট্রিক আলসারও সারিয়ে তোলে।
GIPHY App Key not set. Please check settings