দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সারাদেশে লকডাউনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। করোনা ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যেকোনও পাবলিক পরীক্ষা যেমন বিসিএস, এসএসসি ও এইচএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখা।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। গত ১০ মার্চ থেকে প্রতিদিন হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বুধবার (১৭ মার্চ) ১ হাজার ৮৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এছাড়া আজকে ১১ জন মারা গেছেন এই ভাইরাসটিতে। এর আগে গত দুই দিন ২৬ জন করে মারা গেছেন ভাইরাসটিতে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিনি কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমান করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো-
১ সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যালেন্স রেখে যেকোনও জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২. কাঁচা বাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে, সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪. যেকোনও পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ করতে হবে।
৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা।
৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসীরা যারা আসবেন, তাদের ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেয়া।
৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০. পোর্ট অব এট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।
১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।
১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।
GIPHY App Key not set. Please check settings