in

লোয়ার ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথা।

বর্তমান বিশ্বে লোয়ার ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইসু হয়ে দাড়িয়েছে। এই ব্যথা আপনার প্রাত্যহিক চলার পথে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে। সাধারণত, ঠিকমতো বসতে না পারা কিংবা সটান হয়ে শুলে মেরুদন্ডে ব্যথা এই কথাগুলোই আমরা বেশি শুনে থাকি। আমাদের মেরুদন্ডের শেষ যে অংশ, সাধারণভাবে যাকে আমরা কোমর বলি এখানের ব্যথাই মূলত বহির্বিশ্বে লোয়ার ব্যাক পেইন নামে পরিচিত। আমাদের মেরুদন্ডের যে কশেরুকা(হাড়) গুলো আছে সেগুলো কিছু ডিস্কের মাধ্যমে পরষ্পরের সাথে যুক্ত থাকে। এই ডিস্কের স্থানচ্যুতি বা প্রদাহ হলেই আমরা পেছনে ব্যথা অনুভব করে থাকি। আমরা যারা এই ব্যথায় ভুগি অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেরাই এর জন্য দায়ী। বংশগত কারণকেও অনেকে দায়ী করে থাকেন। তবে তার সম্ভাবনা খুবই কম। এখন আমরা লোয়ার ব্যাক পেইনের বিভিন্ন ফ্যাক্টস নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক!

#1 লোয়ার ব্যাক পেইন কোথায় এবং কেন হয়?

আমাদের মেরুদন্ড মোট ৩৩টি কশেরুকা নিয়ে গঠিত যা পরষ্পরের সাথে ডিস্কের মাধ্যমে অত্যন্ত সুবিন্যস্ত উপায়ে আটকে থাকে। মেরুদন্ডের সর্বশের দুইভাগের হাড়কে ল্যাম্বার এবং কক্কিক্স নামে অবিহিত করা হয়। এই ল্যাম্বার এবং কক্কিক্সে ছোট ছোট ১৪ টি হাড় একীভূত থাকে। এখানের ব্যথাকেই মূলত লোয়ার ব্যাক পেইন বলে অবিহিত করা হয়।

কোনো সমস্যা সমধানের জন্য প্রথমেই এর উৎপত্তি সম্পর্কে সম্যক পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। বিশেষজ্ঞ দের মতে এই পেইন সৃষ্টি হওয়ার পেছনে একশোরও বেশি কারণ আছে। তবে প্রচলিত ক্ষেত্রে যে কারণগুলো আছে সেগুলো হলো-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#2 অতিরিক্ত ওজন

আপনার BMI(বডি মাস ইন্ডেক্স)স্কেলে আপনার ওজন যদি অতিরিক্ত(২৭+) হয়ে যায় তাহলে আপনি যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই এই ব্যথা কমবেশ অনুভব করবেন। কমোডে বসার সময়,চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে,অনেকক্ষণ ধরে দাড়িয়ে থাকলে, উপুর হয়ে কাজ করলে, দুই হাত দিয়ে একসাথে ভারি কোনো বোঝা বহন করলে আপনার মেরুদন্ডের ডিস্ক গুলোতে চাপ পরে৷ যার ফলে আপনি কোমরে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#3 দীর্ঘসময় ধরে বসে কাজ করা

আপনার অফিসে আপনি কাজ করার সময় যদি টানা অনেকক্ষণ বসে থেকে কাজ করেন তাহলে আপনার ওজন ঠিকঠাক থাকলেও কোমরে ব্যথা অনুভব করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#4 দুই হাত দিয়ে বোঝা বহন করা

অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ দের মতে, যারা যুবক বয়সে দুহাত দিয়ে বোঝা বহনের কাজ করে থাকেন তারা বৃদ্ধ বয়সে কুজো হয়ে যান। আর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।

এই ব্যাপারগুলোই সাধারানভাবে দেখা যায়। ১০ ভাগেরও কম কোমর ব্যথা বংশগত কারণে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার পূর্বপুরুষ কারো এই সমস্যা থাকলে বংশপরম্পরায় তা বাহিত হয়। কিছু বিরল ক্ষেত্রে ডাক্তাররা মনে করেন, যাদের পূর্বপুরুষদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের ডায়াবেটিস এর সাথে সাথে মেরুদন্ডে সমস্যাও দেখা যায়।

যেভাবে প্রতিকার পাওয়া যাবে, 

সমস্যার গভীরতার উপর ভিত্তি করে সাধারণত ডাক্তাররা করণীয় নির্ধারণ করে দেন। পেইন যদি সীমিত আকারে থাকে তাহলে কিছু ঘরোয়া ব্যায়ামের মাধ্যমেই আপনি তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন৷

কোবরা স্ট্রেচ 

নাম শুনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। খুবই সহজ একটি ব্যায়ামের নাম এই কোবরা স্ট্রেচ।

কীভাবে করবো?

প্রথমেই ফ্লোরে পুশ আপ (সহজ কথায় বুকডন) পজিশনে শুয়ে যান৷ তারপর দু হাতের তালু কাধের দুপাশ দিয়ে ফ্লোরে সমতল ভাবে স্থাপন করেন। এবার হাতে ধীরে ধীরে চাপ সৃষ্টি করে আপনার মাথাটাকে যতটা পারেন উপরে উঠান। দেখবেন,আস্তে আস্তে কোমরের পাশটায় ভালো অনুভব করছেন৷ দিনে ২ বার এই ব্যায়াম আপনাকে লোয়ার ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি দিতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন 

আপনার হাইটের সাথে এডজাস্ট করে ওজন টাকে ঠিক রাখতে হবে। লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন যেটাকে আমরা অনেকেই কিটো ডায়েট বলে থাকি,তা চর্চা করতে পারেন। চাল এবং গমের তৈরি যেকোনো জিনিস কম খাওয়া এবং শাকসবজি, মাছমাংস পরিমাণমতো খাওয়া আপনার ওজনকে ঠিক রাখবে। পারফেক্ট BMI স্কেলে (১৮-২৪) ওজন রাখতে পারলে আপনার মেরুদন্ডের সুস্থ গড়ন নিশ্চিত হবে।

লোয়ার ব্যাক পেইন যখন অসহনীয় হয়ে যায় কিংবা অনেকদিন ধরে স্থায়ী হয় তখন ডাক্তাররা কিছু অসুধপত্র সাজেস্ট করে থাকেন। কিছু ক্রিটিকাল পর্যায়ে সার্জারিও রেকমেন্ড করা হয়ে থাকে।

স্মলার স্টেজ 

এই স্টেজে সাধারণ অসুধপত্র এবং নন স্টেরয়েডাল এন্টি ফ্ল্যামেটরি (প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে) ইঞ্জেকশন রোগীর শরীরে পুশ করা হয়। এতে করে ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলে।

লার্জার স্টেজ 

এই স্টেজে ডাক্তাররা সার্জারির পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ডিস্ক যখন সম্পূর্ণভাবে স্থানচ্যুত হয়ে যায় এবং কশেরুকায় বড় ধরণের প্রদাহ সৃষ্টি হয় তখন সার্জারি ছাড়া উপায় থাকেনা। প্রয়োজনীয় মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে সফল সার্জারিই তখন একমাত্র সমাধান। এই ক্ষেত্রে সাফল্যের হারও সন্তোষজনক। প্রায় ৯০ ভাগ ক্রিটিকাল লোয়ার ব্যাক পেইনের সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0
30

৩০টি স্থিরচিত্র বাস্তব অনুকরণ।

একজন দক্ষ মানুষ হারালাম। ভিডিওটি তার প্রমান। মেজর (অব.) সিনহা।