এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন দাবি করেছেন, তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ফাঁদে ফেলা হয়েছে। ওই নারীর নাম সেলিনা ইসলাম লিজা, যিনি তার আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছেন।
ডিসির দাবি, ‘লিজা পারিবারিক আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে আমাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেই ছবি-ভিডিও দেখিয়ে শুরু করেন ব্ল্যাকমেইল।’
এক গণমাধ্যমকে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ডিসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘প্রতি মাসে আমাকে নিয়মিত টাকা দিতে হতো। বিভিন্ন সময়ে পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছি, তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। এমনকি তিনি আমার স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং বিয়েতে রাজি না হলে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন।’
তিনি আরও জানান, ‘আমি কখনোই প্রতারণা করিনি। আমি ভালোবাসার জায়গা থেকে সম্পর্ক তৈরি করেছিলাম, কিন্তু তা ব্যবহৃত হয়েছে ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে।’
অন্যদিকে লিজার পাল্টা অভিযোগ,‘ডিসি আশরাফ উদ্দিন কোরআন শরিফে হাত রেখে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। আমি তার কথা বিশ্বাস করে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করি। কিন্তু পরে তিনি পিছু হটে, এবং শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন।’
জানা গেছে, লিজা টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা এবং ঢাকার মিরপুরে বসবাসকারী। তার সাবেক স্বামী মাজহারুল ইসলাম সংগ্রাম, যার সঙ্গে তার দুটি সন্তান রয়েছে। জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন ওই সংগ্রামের বড় বোনের জামাই।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন সরকারি বাসভবন থেকে গা ঢাকা দেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি ছুটিতে আছেন, তবে তার দায়িত্বে কেউ আছেন কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ভিডিও প্রকাশের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ডিসিকে ওএসডি করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings