১) রোজা- রমজান মাসে অসুস্থতার সমস্যা বাদে পুরো ৩০ টি রোজা রাখা ফরয । রোজা রাখলে ফরযের কাজটি পুরন হয়ে এবং পাশা পাশি শরীরও ভালো থাকে । এটি বিজ্ঞান প্রমিনিত ।
২) নামায- নামাজ হল মুসলমানদের জন্য ফরয এবং বেহেস্তের চাবিকাঠি । নামাজ মানুষকে আল্লাহার অতি নিকট নিয়ে যায় । রোজার মাসে নামাযের সওয়াব অনেক গুন বেড়ে যায় ।
যে বেক্তি ৫ ওয়াকত নামায পড়ে আল্লাহর রহমত তার উপর নাযিল হতে থাকে । নামাজ আদায় করলে মন ও শরীর দুটোই ভালো থাকে কারন নামাজের চেয়ে উত্তম বেয়াম আর নাই ।
৩) ইফতারের আগে দুয়া করা- ভালো কাজের জন্য দুয়া করলে আল্লাহ্র খুশি হন । ইফতারের আগে দুয়া করলে রজা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় এবং অনেক নেকী হাসিল হয় ।
৪) তারাবীহ নামাজ পড়া- যেহেতু নামাজ হল বেহেস্তের চাবিকাঠি এবং তারাবির নামাজ রমজান মাসেই পড়া হয় । রমজান মাসে আল্লাহ শয়তানকে বেঁধে রাখেন এবং বেহেস্তের দরজা খুলে দেন তাই ফরয নামাজের সাথে তারাবী নামায পরা উত্তম ।
তারাবির নামাজ হল রমজানের বিশেষ নেকি হাসিল করার উৎস ।
৫) মিসওয়াক করা- মিসওয়াক হল দাত ও মুখ পরিষ্কার রাখার উত্তম উপায় । রমজানে নিয়মিত মিসওয়াক করলে হজম শক্তি বাড়ে এবং সেহরি ও ইফতারের খাবার ভাল মত হজম হয় ।
মিসওয়াক হল একটি সুন্নাথ কারন নবীজি মিসওয়াক করতেন ।
৬) মিথ্যা কথা বলা থেকে দূরে থাকা- আল্লাহ পাক মিথ্যা পছন্দ করেন না । রমজান মাসে নামাজ ও রোজা রেখে মিথ্যা কথা বললে নেকির বদলে গুনহা হাসিল হয় । রোজা ও নামায কবুল হয়ে না । রমাজের সব নেকি হারিয়ে যায় ।
৭) বিবাদ এড়িয়ে চলা- ইসলাম হল শান্তিপ্রিয় ধর্ম এবং রমজান হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস । তাই রমজান মাসে বিবাধ এড়িয়ে চলা উত্তম । রোজা রেখে বিবাধে জড়ালে রোজা হাল্কা হয়ে যায় অথবা কুবুক হয় না ।
৮) কল্যাণমূলক কাজ বেশি বেশি করা- ভালো কাজ করলে আল্লাহ পাক খুশি হন এবং রমজান মাসে ভালো কাজ করলে অনেক গুন বেশি সোয়াব হাসিল হয় । নেকির মাসে নেকির সোয়াব অনেক গুন বেশি ।
৯) বেশি বেশি কোরান পড়া- রমজান মাসে কোরান নাজিল হয়েছিল । তাই রমজান মাসে কোরান শুধ ভাবে বুঝে পড়লে অনেক নেকি হাসিল হয় । কোরান শরীফ বুঝে পরলে অনেক কিছু জানা যায় যা আমল করলে জীবন আলোকিত হয়ে উঠে ।
কোরান পড়া এবং পরানো অনেক সওয়াবের কাজ ।
১০) তওবা করা- মানুষ জান্তে অজান্তে অনেক ভুল করে থাকে এবং রমজান মাস হল এমন একটি মাস যখন আল্লাহ পাক জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন । তাই এই মাসে তওবা করলে তওবা দ্রুত কুবুল হয় । পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায় ।
১১) ফিতর আদায় করা-ফিতরা হল গরীবের হক । ইসলামে গরীবের হক্কে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । সম্পদের উপর ভিত্তি করে ফিতরা হিশাব করা হয়ে এবং ইসলামে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে “যদি ফিতরা দেওার মত সম্পদ থাকে তাহলে ফিতরা দেওয়া বাধ্যতামূলক ।
১২) বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া- রমজান মাস হল নেকি হাসিলের মাস তাই বেশি বেশি নফল ইবাদতের অনেক সোয়াব পাওয়া যায় । রোজা রেখে ফরজ নামাজের সাথে নফল নামাজ পড়লে মনে হবে এবাদত সম্পূর্ণ হয়েছে ।
১৩) দৃষ্টি ঠিক রাখা- রোজা রেখে কারও দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে রোজা হালকা অথবা ভেঙ্গে যেতে পারে । খারাপ দৃশ্য থেকে নিজের চোখকে হেফাজত রেখে রমজান মাসের এবাদত করা ।
১৪) জীবনকে ঠিক রাখা- জীবন হল আল্লাহ পাকের উপহার । যে নিজের জীবনকে সহি ভাবে পালন করবে আল্লাহ তার উপর রহমত নাজিল করবেন । রমজান মাস হল এবাদতের মাস এবং সহি ভাবে জীবনকে ঠিক রেখে এবাদত করা হল উত্তম।
১৫) গীবত না গাওয়া- আল্লাহ পাক গীবত পছন্দ করেন না । নেকির মাসে গীবত গাইলে রোজা হালকা অথবা ভেঙ্গে জেতে পারে। তাই বেশি বেশি নেকি হাসিলের জন্য গীবত থেকে দুরে থাকা উচিত ।
১৬) খারাপ কথা না সুনা-রমজান মাসে কানের হেফাজত করা উচিত । খারাপ কথা শুনলে মন ও মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব পরে । রমজানের মাসে মন ও মস্তিষ্ক পরিষ্কার রেখে আল্লাহার প্রতি এবাদত করা উচিত ।
১৭) ইফতার করানো- রমজান মাসে কোন রজাদার বেক্তিকে ইফতার করানোর অনেক সওয়াব আছে । যদি সামর্থ্য থাকে আত্মীয়, প্রতিবেশী ,বন্ধু বান্ধবের বাসায় ইফতার পাঠান অথবা ইফতারের দাওয়াত করা উচিত । এতে সম্পর্ক ভালো হয় । গরীব কাওকে ইফতার করালেও অনেক নেকি হাসিল হয় ।
১৮ ) বেজর রাত- রমজানের যে কোন বেজর রাত গুরুত্বপূর্ণ । বেজর সংখ্যাটি আল্লাহা পাকের প্রিয় । ২৭সে রাতে কোরান নাজিল হয়েছিল । বেজর রাতে আল্লাহ পাক বান্দার খুব কাছে চলে আসেন
GIPHY App Key not set. Please check settings