in

যেভাবে এর থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন? ইনসোমনিয়া।

ইনসোমনিয়া শব্দটা শুনলেই আমাদের প্যারানরমাল কোনো মুভি বা উপন্যাসের কথা মনে পরে যায়, যেখানে কোনো চরিত্র নিদ্রাহীনতা কিংবা হেলুসিনেশনের কারণে সিরিয়াস সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাই না? সেলুলয়েড এর পর্দায় ইনসোমনিয়া কে যেভাবে চিত্রিত করা হয়, সাধারণভাবে এই টার্ম সেটা থেকে কিছুটা ভিন্ন। দেখা গেলো আপনি ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন্না, যতক্ষণ ঘুমাতে ইচ্ছে পোষণ করেন তার আগেই ধড়ফড় করে উঠে যান কিংবা রাতের তুলনায় দিনে বেশি ঘুমের প্রবণতা এই বৈশিষ্ট্য গুলোকেই ইনসোমনিয়া হিসেবে সঙ্গায়িত করা হয়৷ ছোটবড় সবারই এই সমস্যা হতে পারে৷ তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ বা তার বেশি বছরের লোকদের ক্ষেত্রে এই ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হবার হার প্রায় ৩৫ শতাংশ।

এই রোগে যারা ভোগেন তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি, ঘুমের ভাব এসেও ঘুম না আসা, ভুলভাল ড্রাইভিং করা, বিষণ্ণ থাকা, খিটখিটে মেজাজ, একা থাকার প্রবণতা ইত্যাদি সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হন। কর্মব্যস্ত দিনশেষে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরবর্তী দিনের কাজে তীব্র প্রভাব পরতে পারে। আপনি যদি এই সমস্ত লক্ষণগুলো অনেকদিন ধরেই আপনার মধ্যে অনুভব করেন এবং এর থেকে মুক্তির উপায় খুজেন তাহলে আজকের প্রবন্ধটি আপনার জন্যই।

ইনসোমনিয়া কেন হয়?

#1 পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া

একজন সুস্থ মানুষের দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। এটা আমরা সবাই কমবেশ জেনে থাকি। অনেকেই এই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতে চান না। যেকোনো মেশিনের যেমন নিরবিচ্ছিন্ন কাজের মাঝে একটু বিশ্রাম এবং পরিচর্যা দরকার একইভাবে আপনার ব্রেনের ওয়ার্কিং সেলগুলোরও পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#2 দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল / পিসির সামনে বসে থাকা

 ঘুমের আগে দীর্ঘসময় ধরে ইলেক্ট্রিক স্ক্রিনের দিকে থাকা হতে পারে এই ডিসঅর্ডারের অন্যতম কারণ। টানা অনেকক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি খেয়াল করে দেখবেন চোখের জায়গাগুলোতে প্রচুর ক্লান্তি অনুভব করছেন কিংবা আপনার মাথা ঝিমঝিম করছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#3 অতিরিক্ত হারে চা কফি পান করা

এক গবেষণায় অবাক করার মত একটা তথ্য উঠে এসেছে৷ যারা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, তাদের ৬০ ভাগের বেশি অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ করে থাকেন। আর কফি হলো ক্যাফেইনের অন্যতম প্রধান উৎস। অতিরিক্ত মাত্রায় রং চা খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। যাদের কফি ছাড়া চলেইনা, দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ গ্রাম কফি হতে পারে তাদের জন্য আদর্শ পরিমাণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#4 ধুমপান করা অথবা এলকোহল গ্রহণ করা

ধুমপান এবং মদ্যপান শুধু ক্যান্সারই সৃষ্টি করবে তা নয়। ক্যন্সার হলো এই বদ অভ্যাসের সুদূরপ্রসারী প্রভাব। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিদ্রাহীনতা এবং বিষণ্ণতা দেখা দেয়।

মানসিক সমস্যায় ভোগা

যেকোনো ধরণের মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত টেনশন ইনসোমনিয়ার অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#5 গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে

প্রেগন্যান্সির সময়ে অনেকগুলো ফ্যাক্টর মিলে ইনসোমনিয়া ঘটাতে পারে৷ ইউরেটাস তথা জরায়ুর ওজন এবং আকৃতি বেড়ে যাওয়া,অতিরিক্ত ওজনের কারণে ফুসফুসের বহিঃপর্দায় চাপ বেড়ে যাওয়া, বেবি কেমন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা সব মিলিয়ে এই সময়ে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

#6 যেভাবে আপনি এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

প্রাত্যহিক ব্যায়াম 

নিয়মিত শরীর কসরত হতে পারে অন্যতম সমাধান। আমাদের শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে ব্রেনের রিসেপ্টর এবং ওয়ার্কিং সেলগুলো মূল ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে সারা শরীরে তথা মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, যা আমাদের প্রাত্যহিক কর্মব্যস্ত জীবনের পারফরম্যান্স উচু করার পাশাপাশি আমাদেরকে টেনশন মুক্ত রাখে। স্বাভাবিক ঘুমের জন্য যা অত্যন্ত জরুরি। সপ্তাহে গড়ে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি যারা ব্যায়াম করেনা তাদের থেকে ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খাবেন্না! 

খেয়ে সাথেসাথে ঘুমোতে গেলে আপনার হজম প্রক্রিয়া কাজ শুরু করার সাথে সাথে আপনার ঘুমের বারোটা বেজে যাবে। আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের জন্য দেরি করে খাওয়া একদম অনুচিত। ঘুমের অন্তত ২ ঘন্টা আগে সমস্ত খাওয়াদাওয়া শেষ করা উচিৎ। আর ঘুমানোর আগে পানি প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ করুন।

টেনশন মুক্ত থাকুন 

অতিরিক্ত টেনশন করলে আপনি প্রতি রাতেই ঘুমানোর সময় সাফার করবেন। এই টেনশন এবং এনজাইটি আমাদের মস্তিষ্কের উপর এতটাই প্রভাব ফেলে, যে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা এবং এর ফলে ঘুমের ব্যঘাত ঘটে।

মেলাটনিন এর কার্যকারিতা বাড়ান 

মেলাটনিন একটি হরমোন, যা মস্তিষ্কের তৃতীয় প্রকোষ্ঠে অবস্থিত পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। আমাদের ঘুম চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এই মেলাটোনিন। মেলাটনিন এর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ট্রিফটোফ্যান নামের একধরণের এমাইনো এসিড(প্রোটিন গঠনের গাঠনি একক) এর প্রয়োজন হয়৷ কাজুবাদাম,খেজুর, টার্কি মুরগি, ব্রকলি ইত্যাদি ট্রিফটোফ্যানের ভালো উৎস। তাই আপনি ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত হলে এই খাবারগুলো খেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Azaher Ali Rajib

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

ইমিউন সিস্টেম কে শক্তিশালী করতে কী করবেন?

বাংলাদেশে ভ্রমনে রেড এলার্ট!!!!