চলছে এক্ষণ শীতকাল। আর এই মৌসুমে ই বিয়ের যত আয়োজন। এ মৌসুমে যেখানে-সেখানে যার-তার বিয়ে হচ্ছে। তবে বিয়ের আগে বিয়ের নিমন্ত্রণের জন্য কার্ড বিলি করতে হয় হয়। যুগ যুগ ধরে এটি এক ধরনের ঐতিহ্যগত ব্যাপার হয়ে দারিয়। কিন্তু জ্যোতিষী ও বাস্তুবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা, এই বিয়ের কার্ডের মধ্যেও নাকি দম্পতির সুখ-দুঃখের ব্যাপার জড়িত আছে। কার্ডই বলে দেবে, দম্পতি সুখী হবে কি-না। আসুন জেনে নেই বিষয়গুলো।
#1 কার্ডের মাপ
বর্তমানে ভিন্নি আকৃতির আধুনিক কার্ডের প্রচলন দেখা যায়। যেমন- ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, লম্বা, গোলাকার ইত্যাদি। তবে জ্যোতিষী ও বাস্তুবিদরা এটি করতে নিষেধ করেছেন। বরং প্রথম থেকে যে আয়তাকার কার্ড তৈরি হতো, সেটাই মেনে চলতে হবে। কারণ অন্য আকৃতি নব দম্পতির জীবনে জটিলতা আনতে পারে। বিশেষভাবে ত্রিভুজ আকারের কার্ড করতে একেবারেই নিষেধ করেছেন।
#2 যে কাজ করা থেকে বিরত থাকা ই মঙ্গল
বর্তমানে ডিজিটাল কার্ড করা হয়। এর মানে হচ্ছে পুরো বিষয়টি আগে ডিজিটালি ডিজাইন করা হয়। আর কার্ড এ জায়গা করে নিচ্ছে কনের আর বরের আগে থেকে তোলা ছবি। এটা করতেও নিষেধ করা হয়। অনেক আগে থেকে প্রচলন আছে যে, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলে মেয়েকে আর বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া যাবে না। সে সূত্র ধরেই ছবি দিতে নিষেধ করা হয়। এতে মন্দ লোকের কুনজর পড়তে পারে বর-কনের ওপর।
Leave a Reply
#3 রং সিলেক্সন করা
মুলত বিয়ের কার্ড যেটি লাল ও সোনালি রঙের হয়ে থাকে। কোনোভাবেই যেন ধূসর রঙের না হয়। বিশেষ করে কালো ও ছাই রং একেবারেই শুভ হবে না। জ্যোতিষীরা মনে করেন এই রঙপরবর্তীতে বৈবাহিক জীবনে সমস্যার সৃষ্টি করবে। বিয়ের কার্ডের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো যেকোনো উজ্জ্বল ও ঘন রং। লাল, নীল, বেগুনি রং বেছে নিতে পারেন।
Leave a Reply
#4 ছবির খেত্রে কিছু কথা
হিন্দু ধর্মের মানুষেরা তাদের দেব দেবতার ছবি দিয়ে ডিজাইন করে থাকেন। তবে এই ক্ষেত্রে গণেশের ছবি খুব ভালো তাদের জন্য। কিন্তু নৃত্যরত গণেশের ছবি শুভ নয়। এছাড়া রাধা-কৃষ্ণ, নৃত্যরত শিব ও নটরাজের ছবি দেওয়া যাবে না। তার কারন হচ্ছে রাধা-কৃষ্ণের কোনোদিন মিলন ঘটে নি। আর নৃত্যরত শিব ও নটরাজের ছবি তাদের রাগান্বিত রূপ। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো শুভকর হবে।
Leave a Reply
#5 সুগন্ধি কাগজ ব্যবহার
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!