in

বিশ্ব জুড়ে সন্তান চান ইলন মাস্ক!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ইলন মাস্ক। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও। এক হাতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডোজ সামলাচ্ছেন, অন্য হাতে চালাচ্ছেন টেসলা, স্পেসএক্স, এক্স, নিউরালিংকের মতো ছয়টি সংস্থা। কিন্তু এর বাইরে ইলন মাস্ক একজন বাবাও বটে। চার জন নারীর সঙ্গে সম্পর্কের মাধ্যমে মোট ১৪টি সন্তান আছে তার। এবার বিশ্ব জুড়ে সন্তান চাইছেন। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানেই থামতে চান না ইলন মাস্ক। আরো বেশি বংশবিস্তারের জন্য মরিয়া তিনি। ‘সন্তান বাহিনী’ তৈরি করতে চান। প্রতিবেদনটি মূলত ২৬ বছর বয়সি মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ারের বক্তব্যের ওপর নির্ভরশীল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাস্কের ১৩তম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। অ্যাশলে জানিয়েছেন, মাস্ক তার সামাজিক প্রভাব, সম্পদ এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্স ব্যবহার করে একের পর এক মহিলাকে তার সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। 

সারোগেসির প্রস্তাব দেন। আর এই ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ্যে চলে না আসে, তার জন্য ঐ মহিলাদের সঙ্গে বিপুল অর্থের বিনিময়ে গোপন চুক্তি করেন। 

মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই চর্চার বিষয়। জাস্টিন উইলসন, গায়ক-গীতিকার গ্রিমস, নিউরালিংকের ডিরেক্টর শিভন জিলিস এবং লেখক অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ার-এখনো পর্যন্ত চার মহিলা তার সন্তানের মা হয়েছেন। তবে মাস্কের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, আরো বেশ কয়েক জন মহিলার সঙ্গে মাস্কের সম্ভবত আরো বেশ কয়েকটি সন্তান রয়েছে।
 
ওয়াল স্ট্রিট ডার্নালের রিপোর্ট অনুসারে, এই আরো অনেক মহিলার মতো এক্সে জাপানের ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনফ্লুয়েন্সার টিফানি ফংকে তার সন্তানের মা হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্ক। তবে মাস্কের প্রস্তাবে রাজি হননি ফং। তিনি এক নিউক্লিয়ার পরিবারে সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুসারে, নিরাপত্তার খাতিরেই এই গোপন সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে সন্তানের বাবা হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে চান না মাস্ক। যেমন অ্যাশলে সেন্ট ক্লেয়ারকেই তাদের সন্তানের পরিচয় গোপন রাখার জন্য বিপুল অর্থ দিতে চেয়েছিলেন মাস্ক। ২০২৩ সালে এক্সে অ্যাশলেকে ফলো করা শুরু করেছিলেন টেসলা কর্তা। তারপর দুজনের মধ্যে টেক্সটে কথা আদান-প্রদান শুরু হয়। দুজনের প্রেম হয়েছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাস্কের ১৩তম সন্তান রোমুলাসের জন্ম দেন অ্যাশলে। বিষয়টি গোপন রাখতে অ্যাশলিকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছিলেন মাস্ক। তবে অ্যাশলি সেই চুক্তি স্বাক্ষর করেননি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ছেলের পরিচয় আমি গোপন রাখতে চাইনি।’ 

‘সন্তান বাহিনী’ তৈরির জন্য এতটা মরিয়া কেন সেই বিষয়ে টেসলা কর্তা মনে করেন, জন্মহার যেভাবে কমছে তাতে মানব সভ্যতার অস্তিত্বই সংকটের মুখে পড়তে পারে। তাই মানব সভ্যতাকে বাঁচানোর লক্ষ্যেই মাস্ক তার পছন্দের মহিলাদের তার বীর্য অর্পণ করতে চান। বিভিন্ন সময়েই তিনি অতিরিক্ত সন্তানের জন্ম দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিস্ফোরক প্রতিবেদন নজর এড়ায়নি মাস্কের। তিনি এই প্রতিবেদনকে খারাপ মানের গসিপ বলেছেন। -ইন্ডিয়া টাইমস

This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!

Report

What do you think?

Written by Sultana

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Loading…

0

নিজ বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

এক লাফে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ১৫ টাকা!