দীর্ঘ পাঁচ দিনেও যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনো ছয় স্থানে আগুন জ্বলছে। বৃষ্টির অভাব আর ঝড়ো বাতাস আগুন নিয়ন্ত্রণের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বাড়িঘর ছেড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাবানলটি স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দিক পরিবর্তন করে আরও পূর্ব থেকে উত্তর–পূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ কারণে জ্বলতে থাকা আগুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দশ হাজারের বেশি অবকাঠামো আগুনে পুড়ে গেছে।
এদিকে আগুন আতঙ্কে দিন কাটছে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দাদের। মোবাইলে আসা বাধ্যতামূলক নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রস্তুত থাকার সতর্কবার্তা এ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। গেলো পাঁচ দিনেও ভালো কোনও খবর মেলেনি। উল্টো নতুন করে আবারও ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাস শঙ্কায় ফেলেছে সবাইকে।
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার জানিয়েছে, দাবানলে এ পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ‘প্যালিসেইডস’ দাবানল থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ শহরটি ছেড়েছেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলকে ‘যুদ্ধের দৃশ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শনিবার এক ভাষণে আগামী সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত ঝড়ো বাতাস নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, দাবানলের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা।
অন্যদিকে, দাবানল নিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দাবানল নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন বাইডেন।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings