অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি চুক্তি কার্যকর হতে চলেছে। তবে এর পেছনে অনেক জটিলতার ছাপ স্পষ্ট, যার মধ্যে অন্যতম ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ ও চাপে এই চুক্তি কার্যকর হতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি অত্যন্ত ভঙ্গুর। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থী সহযোগীদের প্রভাবও চুক্তির পথে বড় বাধা ছিল। বিশেষ করে, নেতানিয়াহু এবং তার চরমপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির চুক্তি আটকে রেখেছিলেন বলে জানা গেছে। বেন-গভির দাবি করেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক শক্তির মাধ্যমে আমরা গত এক বছরে এই চুক্তি আটকে রাখতে পেরেছি।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প এবং তার দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের মতো মূল বিষয়গুলোতে ইসরায়েলকে সমঝোতায় আনতে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, “আমার প্রশাসনের আগে যদি বন্দিমুক্তি না হয়, তবে সর্বনাশ শুরু হবে।”
তবে, ট্রাম্পের এই উদ্যোগের পেছনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের বদলে ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং রাজনৈতিক সুযোগের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে অবজ্ঞা করেছেন। গাজার বর্তমান সংকটকে তিনি নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে সমালোচকরা মনে করছেন।
এরপরেও, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন পক্ষ যেমন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই চুক্তি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings