জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার দাবিতে চলমান কাস্টমস কর্মকর্তাদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এতে দেশের সবচেয়ে বড় বন্দর কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিদিন রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০৯ কোটি টাকা।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের দাবি, পেশাগত মর্যাদা, নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ এবং আধুনিকায়নের দাবিতে তারা কয়েক সপ্তাহ ধরেই কর্মসূচি পালন করছেন। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসসহ দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ছাড়করণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সূত্র বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হওয়া স্বাভাবিক থাকলেও চলমান সংকটে তা নেমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশে। ফলে পণ্যজট, জাহাজ জট এবং আমদানিকারকদের অতিরিক্ত খরচ বেড়ে গেছে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আমদানি পণ্যের খরচও বেড়ে যাবে, যা ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।
এদিকে এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমসের রাজস্ব সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা রাখে চট্টগ্রাম বন্দর। এককভাবে এই বন্দরের মাধ্যমে দৈনিক রাজস্ব আয় হয় প্রায় ২০০ থেকে ২২০ কোটি টাকা। চলমান কর্মবিরতিতে এই রাজস্ব প্রবাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে।
কিন্তু চলমান পরিস্থিতে এনবিআরের পক্ষ থেকে এখনো স্থায়ী সমাধানের কোনও ঘোষণা না আসায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
তবে, এনবিআরের চলমান অচলাবস্থার সমাধানে আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নিতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার। শনিবার (২৮ জুন) রাজস্ব ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রিকাবদার বলেন, আমরা আলোচনায় বসতে আগ্রহী, মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছি। তবে, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো আমন্ত্রণ না পেলেও এনবিআরের ১৬ জন সদস্য অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings