গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে নিয়ম ভেঙে নারীর সঙ্গে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের দীর্ঘসময় কাটানোর ঘটনায় ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইনসহ তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সময় নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত মহাকারাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন।
প্রত্যাহারকৃত বাকি দুজন হলেন সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমান। তাদের কারা সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।এদিকে ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের সঙ্গে কারাগারের ভেতরে দেখা করেন এক নারীসহ তিনজন।
অবৈধভাবে এ সুযোগ করে দেন জেল সুপার রত্না রায়।সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এ আটক হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা মালিক তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সাথে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন।
সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করেন।সিসিটিভিতে দেখা যায়, ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ০৪ মিনিটে তুষারকে সাথে নিয়ে ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি কক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কাটায় ওই নারীর সাথে।
এ ঘটনায় কারাগারের জেল সুপার রত্না রায়ের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি জেলার সাকলাইন ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, সুপার স্যারের অনুমতিতেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।তিনি বলেন, আমার কি ক্ষমতা আছে, জেলের ভেতর থেকে আসামি নিয়ে আসবো। গেট অর্ডার, যৌথ বাহিনী, হাবিলদার, সুবেদার আছে। আমি একাই আসামি নিয়ে আসলাম। এটা কি সম্ভব!ভিডিও ফুটেজে তাকেই আসামি নিয়ে আসতে দেখা যাওয়ার বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই তো নিয়ে এসেছি।
এটা তো অস্বীকার করছি না। আমাকে বলেছে তাই আমি আনতে গেছি। আমাকে না বললে তো আর আমি আনতে যেতাম না।’এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে জেলা প্রশাসক।
তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে বলে জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক।গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে তদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেবেন। এরপর আমরা প্রকৃত সত্যটা বুঝতে পারবো। প্রথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
This post was created with our nice and easy submission form. Create your post!
GIPHY App Key not set. Please check settings